আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নামমাত্র রাস্তা সংস্কারের কাজ করে টিআর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাহেল মিয়া। এ ব্যা...
আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নামমাত্র রাস্তা সংস্কারের কাজ
করে টিআর প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাহেল
মিয়া। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মোশাহিদ মিয়া।
অভিযোগপত্রে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জ ১ নং সদর ইউনিয়নের বিরাট মির্জাপুর অর্থাৎ ৫ নং ওয়ার্ডে ২০১৯ -
২০ অর্থবছরে বড়হাটি হইতে সিঁড়ি ঘাটলা পর্যন্ত অনুমানিক ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি
রাস্তা পুনঃসংস্কারের জন্য টিআর প্রকল্পের আওতায় ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া
হয়। উক্ত টাকা একই অর্থবছরের জুন মাসে ইউপি সদস্য ও প্রকল্প চেয়ারম্যান
মোঃ সাহেল মিয়া কাজ না করেই সমূদয় টাকা উত্তোলণ করেন। এলাকাবাসী রাস্তাটি
পুনঃসংস্কারের জন্য বার বার বললেও আমলে নেয়নি প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি
সদস্য মোঃ সাহেল মিয়া। এক পর্যায়ে রাস্তাটি লোকজনের চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায়
এলাকাবাসী আবারও চাপ সৃষ্টি করে। এ প্রেক্ষিতে ১ম পর্যায়ে ২০২০ ইং সনের
নভেম্বর মাসে একই এলাকার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলী নেওয়াজের
মালিকাধীন নৌকায় কিছু সংখ্যক শ্রমিকের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৫'শ টাকার মাটি
দিয়ে রাস্তার খানা-খন্দক ভরাট করে। পরবর্তীতে এর একমাস পর অর্থাৎ ডিসেম্বর
মাসে ২য় পর্যায়ে মোঃ উজ্জল মিয়ার মালিকাধীন ট্রলির মাধ্যমে ওই রাস্তায় ৪
হাজার ৮'শ টাকার মাটি ভরাট করে। বরাদ্দকৃত ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ বারে
সর্বমোট ১৮ হাজার ৩ শত টাকার মাটি ভরাট করে রাস্তার পুনঃসংস্কারের কাজ
সম্পন্ন করে। অর্থাৎ ২৬ হাজার ৭ শত টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
অদ্যাবধি এলাকার লোকজনের রাস্তার ভূগান্তির অবসান হয় নাই। তাই এ ব্যাপারে
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বরাবরে বিগত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী
পক্ষে মোঃ মোশাহিদ মিয়া।