জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গা জুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্...
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃদেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গা জুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্যস্ততা। পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং আর হকারদের ব্যবসা।
এই হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স এর মোড় থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চ পর্যন্ত ফুটপাতের অবস্থা। ছোট ছোট দোকান, ব্যবসাসামগ্রী আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিদিনই হয়রানি পোহাচ্ছেন পথচারীরা বিশেষ করে নারীরা। কখনও কখনও প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল ছিনতাইসহ ইভটিজিং এর শিকার হন।একদিকে ফুটপাত দখল, অন্যদিকে রাস্তায়ও ঠিকভাবে হাঁটার অবস্থা নেই। ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, আর মোটরসাইকেলের ভীড়। তখন আরও বেশি বিড়ম্বনা।
সড়ক বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ বলেন, ফুটপাতে ব্যবসা হওয়ায় মানুষ হাঁটাচলা করতে পারে না। আর রাস্তায় যে হাঁটবে, তারও উপায় নেই। রাস্তাজুড়ে রিক্সা-অটোরিক্সা। পথচারীদের বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদর আলী শপিং কমপ্লেক্স এর সামন থেকে সড়কের দু’পাশে সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল পার্কিং আর ফুটপাত দখল করে মালামাল নিয়ে বসেছেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যেই লোকজন চলাচল করছে খুব কষ্ট করে। একদম গা ঘেঁষাঘেঁষি করে। পাশাপাশি দু’জনের হাঁটার কোনো সুযোগ নেই। ঠেলাঠেলি করে হাঁটতে হয়। এতে করে পথচারীগণ চরম বিব্রত হন। এভাবেই পৌর শহরের ফুটপাত চলে গেছে হকার ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে। এতে করে পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।
পথচারী আকলিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, পৌর শহরের এই সড়কের ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর ব্যাপার। ফুটপাত এমন ভাবে দখল হয়েছে যে, ফুটপাত নাকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান! চেনা বড় দায়।
বেশ কয়েকজন ভাসমান ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘মানুষ চলাচলে ফুটপাতে অসুবিধা হয় তবে আমরা প্রতিদিন বাজারের ইজারাদারকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করি। অনেক বছর ধরেই এভাবে ফুটপাত আর রাস্তায় ব্যবসা করছি। কেউ বাধা দেয় না। মাঝেমধ্যে পুলিশ তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)বলেন, আমরা পৌরসভা ও ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটিকে নিয়ে অতি শীঘ্রই বসে কথা বলে সড়কে গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত থেকে অবৈধ ব্যবসা উচ্ছেদ করতে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ সমস্যা সমাধানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যানজটমুক্ত শহর গড়ে তুলতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।