স্টাফ রিপোর্টার : সরাইলের বাদে অরুয়াইল মৌজায় শ্রেণী পরিবর্তন করে খাল শ্রণীভূক্ত রাস্তায় আশ্রয়ন প্রকল্প করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উপজেল...
স্টাফ রিপোর্টার : সরাইলের বাদে অরুয়াইল মৌজায় শ্রেণী পরিবর্তন করে খাল শ্রণীভূক্ত রাস্তায় আশ্রয়ন প্রকল্প করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার অরুয়াইল ও বাদে অরুয়াইল গ্রামের নারী পুরুষসহ প্রায় শতাধিক জনসাধারন।
আজ ১৫ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১ টায় উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাদে অরুয়াইল মৌজার উল্লেখিত রাস্তায় আলহাজ্ব কারী মো: জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্তে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গুরুধন রায়, লিটন বিশ্বাস, আলী আকবর নারায়ন বিশ্বাস প্রমূখ।
উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাদে অরুয়াইল মৌজার হালে ৩৩ ও ৯১ দাগ খাল শ্রেণিভুক্ত মানুষের চলাচলের রাস্তাটি ভূমিহীনের নামে বন্দোবস্ত না দিয়ে জনস্বার্থে উন্মুক্ত রাখার দাবিতে গত ৬ এপ্রিল বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুক মিয়া, ইসমাইল মিয়া ও আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি আবু তালেবসহ অর্ধশতাধিক ভূক্তভোগী জনসাধারণ।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাদে অরুয়াইল মৌজার হালে ৩৩ দাগের খাল শ্রেণিভুক্ত রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এর এক পাশ দিয়ে পুরু মহল্লার টিউবওয়েলের পানি ও টয়লেটের মল সীমানা খালে পতিত হয়। বর্ষার সময় এখানে নৌকা নোঙর করে ইট বালুসহ যাবতীয় মামাল আনায়ন করা হয়। শোকনার সময় অরুয়াইল ও বাদে অরুয়াইল দুই পাড়ার লোকদের ধান বন আনা নেওয়া করা হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি শ্রেণি পরিবর্তন করে একটি মহল ভূমিহীনের নামে বন্দোবস্ত নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এ ব্যপারে বাদে অরুয়াইল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমার এলাকা। এই রাস্তাটি দিয়ে মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।’ ৩ জন ভূমিহীনের সুবিধার জন্য হাজার হাজার লোকের অসুবিধা হবে।
অরুয়াইল ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ মিয়া বলেন, এ রাস্তাটি আমাদের চলাচলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই জনস্বার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত রাখার দাবি করছি।
অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবু তালেব মিয়া বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ন রাস্তা জনস্বার্থে রাস্তায় আশ্রয়ন প্রকল্প না দিয়ে উন্মোক্ত রাখার দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পাকশিমুল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা খাল না রাস্তা শ্রেণিভুক্ত তা আমি জানি না। এই জায়গাটা বন্দোবস্ত দেবে কিনা তাও আমি জানি না। ইউএনও স্যার বলছেন জায়গাটি দখলমুক্ত করতে। তাই আমি দখলদারদের জায়গাটি পরিষ্কার করতে বলেছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন,সরকারি জায়গাটি দখল মুক্ত করে ঐ এলাকার আশ্রয়হীনদের ঘর করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য থাকে যে,এই রাস্তা দিয়ে পুরো মহল্লার বৃষ্টির পানি সীমানা খালে গিয়ে পড়ে। ফলে রাস্তাটি বন্দোবস্ত দিলে পুরো মহল্লার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। তাই রাস্তাটি বন্দোবস্ত না দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।