Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Popular Posts

শিরোনাম

latest

আশুগঞ্জে কমছে না সবজির দাম,বাজার উত্তাপ

জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার প্রায় সবগুলো বাজারে সবজির দাম এখনো চড়া। এর মধ্যে শনিবার(১৪মে)সকাল...



জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার প্রায় সবগুলো বাজারে সবজির দাম এখনো চড়া। এর মধ্যে শনিবার(১৪মে)সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই উত্তাপ দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ এবং ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাকা টমেটোর কেজি৫০থেকে৬০ টাকায় বিক্রিহচ্ছে।। ক্রমাগত বাড়ছে শসার দাম। দুই সপ্তাহ আগেও যে শশার দাম ছিল  ৪০ টাকা কেজি এখন সর্বোচ্চ ৫০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।বেড়েছে শিমের দাম।গাজরের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে আরো বেড়েছে।গাজর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। তবে সামান্য দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের, কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে  প্রয়োজনীয় এই সবজি। বেগুন মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেজিপ্রতি। করলা বিক্রী হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি এবং বরবটি বিক্রী হচ্ছে  কেজিপ্রতি ৫০ থেকে৬০ টাকা ও তার আশেপাশে।  আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫ টাকায় পাইকারী ও খুচরা ২০ টাকা । ঢেড়স এবং চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি থেকে ৩০/৫০ টাকার আশেপাশে। চালকুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মূলার দাম দেখা গেছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।পটলের দাম এখনো ৪০/৫০ টাকা কেজি।কেন এত বেশি জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী  বলেন, পটলসহ অনেক কাচা মাল খারাপ আবহাওয়ার কারনে পরিমানে কম আসে। আড়তে দাম বেশি, সাপ্লাইও কম। বেশি আসলে দাম আরও কমবে।বাজার করতে আসা বেসরকারি একজন চাকরিজীবী বলেন, সবজির দাম এই বছর শুরু থেকেই বেশি ছিল। এখনো বেশি আছে। বাজার-সদাই করা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।বাজারে আরো বেড়েছে  বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, ডিম, সবজি ও মুরগির মাংস। বাড়তি চাহিদার সুযোগে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে আরো জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, , মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের পর সবজির চাহিদা বেড়েছে। রোজায় ক্রেতারা সবজি কম খেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ বাজারের আড়তদার মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন,খারাপ আবহাওয়ার কারনে বাজারে মালের আমদানী কম,তাই বাজার কিছুটা বেড়েছে।আবহাওয়া অনুকুল হলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।এক্ই কথা বলেন বাজারের সব্জি বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন।তবে দাম বাড়াতে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন, মূলত আমদানি বন্ধ থাকায় কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একইসাথে বাজারে বেড়েছে ডিমের দামও। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি। তবে বাজারে সবচেয়ে বেশী অভাব সয়াবিনের ।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তৈল থাকা সত্বেও লুকিয়ে লুকিয়ে রশিদবিহীনভাবে বেশী দামে বিক্রি করে থাকে।সয়াবিন তৈল ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।বোতলজাত তৈলও দোকানদাররা একই দরে বিক্রি করছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আর খাসির মাংস ৯০০থেকে হাজার টাকায়। তবে প্রশাসনিকভাবে এর কোনরুপ ব্যবস্থা বা বাজার মনিটরিং করতে লক্ষ্য করা যায়নী।